কুলাঙ্গার জন্ম দিয়ে তোদের বাপ অন্যায় করেছে, শিক্ষার্থীদের ভিসি

হাওর বার্তাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন চলছে

রোববার বিকেল থেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে তিনি এখনও পদত্যাগ বা অপসারিত হননি বলে জানা গেছে।

নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ ছাড়াও তার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা।

অডিও ক্লিপে উপাচার্য বলেন, ‘এই তোর আব্বা কি করে? এই জানোয়ার তোর বাপ বিশ্ববিদ্যালয় চালায়? জানোয়ারের দল। তোর আব্বারে ভিসি বানায় দি (বানিয়ে দেই)। তোর বাপেরে চালাইতে ক। দেখি কি চালায় তোর আব্বা। কি আগুন জ্বালাবি এই জানোয়ার। এই কী আগুন জ্বালাবি, কেন জ্বালাবি, কোন কোন জায়গা জ্বালায় আইছিস (এসেছিস)। তোরে তো এখন লাথি দিয়ে বের করে দিতে ইচ্ছা করতেছে। কোনডারে ছাড়ব না। একটার চেয়ে আরেকটা বেশি। তোরা চালা তাইলে বিশ্ববিদ্যালয়। এদের কথা শুনলি (শুনলে) মরা মানুষ তাজা হয়ে যাবে।’

জানা যায়, ৫ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শ্রেণিকক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কৃতরা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্ষমা চাইতে তাদের সহপাঠীরা উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের অফিসে যান। তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় তাদের ‘জানোয়ার’ বলে গালি দেন ভিসি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ওই দিন বিভাগের সবাই গিয়েছিলাম ছয়জনের জন্য সুপারিশ করতে। কিন্তু ভিসি শুধু ওই ছয়জনকেই না পুরো বিভাগের সবাইকেই ধুয়ে দিয়েছেন। ভিসি সবাইকে ‘জানোয়ারের বাচ্চা, ক্লাসরুম দিয়ে তোদের শ্রাদ্ধ দেব, তোদের মতো কুলাঙ্গার জন্ম দিয়ে তোদের বাপ মহা অন্যায় করছে, তোর কোন বাপরে আনবি নিয়ে আয়, তিনদিনের বাচ্চুর নেতা হইতে আইছিস’ বলে গালাগাল করেন ভিসি। শেষে ভিসি বলেন, বের হয়ে যা আমার চোক্ষের সামনে থেকে জানোয়ারের বাচ্চারা।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সবার অভিভাবককে ডেকে এনে তাদের সামনেও একইভাবে বকাবকি করেন ভিসি। পরে তিনজনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলেও বাকি তিনজনের বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। ভিসির কথাগুলো এখনো ভুলিনি। কথাগুলো শোনার পর নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছিল। এমন একজন অসামাজিক আবাল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কীভাবে হয় তা আমার বোধগম্য নয়।

তবে শিক্ষার্থীদের গালি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, এসব সরকারবিরোধীদের ষড়যন্ত্র, যা অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তি নেই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর